অন্যের চোখে আলো দিতে গিয়ে নিজের চোখের আলো নিভিয়ে যেতে বসেছে কাশিয়ানীর রাতইল কলেজের ১৫জন ভাগ্যহত মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের কলেজটি জরুরী ভিত্তিতে এমপিও করার দাবী এলাকাবাসীর, শিক্ষা প্রেমিক জনমানুষ, অভিভাবক এবং দীর্ঘদিন থেকে বিনা বেতনে শিক্ষা দেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এস.এম.জুলফিকার দেয়া তথ্য মতে ২০০০ সালে এক একর বাইশ শতক জমির উপর মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে এবং ঐ এলাকার ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সমাজ সেবক মরহুম আসাব উদ্দীন মাহমূদ কে সভাপতি করে কলেজের যাত্রা শুরু হয়।
একলেজটি ২০০২ ও ২০০৫ সালে পাঠদান অনুমতি এবং একাডেমিক অনুমতি পাবার পর পরিচালনা পর্ষদ এবং শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্ঠায় চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলার মধ্যে কয়েকবার শ্রেষ্ঠত্ব হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫ জন এর অধিক এবং শিক্ষক-কর্মচারী ১৫ জন। প্রতিষ্ঠাকালীন অনেক শিক্ষক-কর্মচারী বেতন না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে থেকে চাকরী ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছে। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থীনীর সাথে কথা বলে জানা যায় শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা করা, হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া, নিয়মিত জাতীয় দিবস সহ বনভোজন, শরীরচর্চা ও শিক্ষা ভ্রমন কলেজে চালু রয়েছে। অবকাঠামো সমুহ বেতন না পাওয়া ভাগ্যহত শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্থ দিয়ে তৈরি হয়েছে।
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী বর্তমান সরকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার এমপিও ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। উপজেলার মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল, অবকাঠামো, শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বপরি বিবেচনায় সর্বাঙ্গে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি এমপিও করার দাবী রাখে। কলেজের বর্তমান সভাপতি মোঃ ফারুক আহম্মেদ (জাপানী ফারুক) বলেন আমরা গোপালগঞ্জের ১আসনের সাংসদ মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন এ বছর বিনা বেতনে প্রায় দেড় যুগ যাবৎ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার আদেশ দেয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।