কাশিয়ানী(গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়ায় স্কুলের জমি দখল ও টিনসেট ঘর ভাংচুরের ঘটনায় মামলার আসামী শাওবান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
১৯৯৪সনে প্রতিষ্ঠিত কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউনিয়নের জনমানুষের প্রাণ হাতিয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি কে ধ্বংশের মুখে ফেলে দিচ্ছে গ্রেফতারকৃত শাওবান মোল্লা (৩৫)। সে হাতিয়াড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ মোল্লার ছেলে।
সরেজমিনে ও মামলার নথীতে জানা যায় ১৯৭১ সনের রাজাকার ও মাননীয় প্রধান মন্রীর প্রাণ নাষে কোটালী পাড়ায় বোমাপোতা মামলায় ৯মাস হাজতবাসের আসামী আব্দুল হামিদ মোল্লা (৭০) ও তার ছেলে শাওবান মোল্লা দির্ঘদিন যাবত নিরহী জনসাধারণের উপর শারীরিক মানষিক নির্যাতনসহ জোরযবদস্তিতে ভুমি দখল করে শতশত বিঘা জমিতে “জোহনা” ফিসারিজ ও মুরগীর ফার্ম করেছে।
এব্যপারে নিরহি ব্যক্তিদের নামে একাধীক মামলা হামলা ও বহুখুখী হুমকিধুমকির বিষয়টি জনমুখে উঠে এসেছে।
এ ভাবেই ক্ষমতার দাপটে গত ১৩ই জুন শাওবান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হাতিয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনসেট স্কুলের ঘর ভেঙ্গে তছনছসহ মূল্যবান গাছ স্কুলের ফ্যান ও দামিদামি সামগ্রী নিয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৃন্দসহ কমিটির লোকজন বাধাদিলে শাওবানের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে স্কুলটি ভাংচুরের তান্ডব চালায়।
ঘটনার পর বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য ও হাতিয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাদশা মোল্লা(৫০) ১৭জনকে আসামী করে (অজ্ঞাত আরো ৮/১০জন) ১৫ইজুনে কাশিয়ানী থানায় ১৭নং এ ১টি পিসি মামলা রের্কড করেন।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনজার্জ মো. আজিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ ব্যপারে তৎক্ষনাত শাওবান নামে এক আসামীকে গ্রফতার করে কোর্টে চালান করা হয়েছে।
এরই সূত্রধরে আজ বুধবার সকালে হাতিয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এলাকার শতশত নারীপুরুষসহ বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা সোচ্ছার হয়ে, শাওবানের বিচার চাই, আমাদের বিদ্যালয় ভাঙ্গলো কেনো ফিরিয়ে দাও, সন্ত্রাসী দের ধরিয়ে দাও,ভূমি দস্যু শাওবান সাবধান সাবধান,এমনি শ্লোগানে ও আক্রসে ফেটে পড়েন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
পরিমল, হারান, ও জ্যোস্নারা বলেন প্রাণনাষের ভয়ে আমরা হিন্দু তাই মুখ খুলতে পারিনা,কিন্তু সত্য যে আমার বাপদাদারা ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে স্কুলের নামে জমি দিয়ছিলো। এখন দেখছি কিছু জমি স্কুলের আর সব জমি ঐ আব্দুল হামিদ মিয়ার নামে নিছে। আর এখন তার ছেলে শাওবান ভেঙ্গে দিচ্ছে স্কুলঘর। আমরা এর সঠিকবিচার চাই।
এ ব্যপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এই স্কুলের সাবেক সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন বলেন, একজন কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল হামিদের ছেলে শাওবান তার সন্ত্রাসী দোসরদের নিয়ে এলাকার নিরহ জনগণের এবং বিদ্যালয়ের যে ক্ষতি করেছে তার কঠোর বিচার দাবি করছি। এই সাথে শাওবানের সঙ্গি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর ও প্রাইমারীর শিক্ষক মনিরুল ইসলামসহ আসামীদের আইনী আওতায় আনার ও জোরদাবি জানাচ্ছি।