কাশিয়ানী(গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া বাজারে বসবাসকারি মো. মাহামুদুল হক (মামুন) শরীফের ৪টি বিদেশী প্রজাতির ছাগল মারা গেছে ।
গত ২৮শে নভেম্বর মোঃ মামুন শলীফের সেঝ ভাইয়ের ভাটিয়াপাড়া বাজারে বসিবার ঘরের বারান্দার সামনে যমুনা প্রজাতির ১টি ছাগল মারা যায় এবং পুর্বে একই স্থানে আরো ৩টি বিদেশী প্রজাতির ছাগল মারা গিয়েছিলো বলে জানা গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
সরেজমিনে জানা যায় মো. মামুন শরীফ দির্ঘ্য ত্রিশ বছর যাবত ভাটিয়াপাড়া বাজরে রাইস মিলের ব্যবসা করে আসছিলো আর সেই সাথে সকের বসে হরিয়ানা, তোতাপুরী এবং যমুনাপুরী নামক বিদেশী প্রজাতির ছাগল পুষা শুরু করেন। বর্তমানে তার প্রায় বিশটি ছাগল রয়েছে। ছমাস বয়স থেকেই বকরীগুলি বাচ্চা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে আর বছরে একবার করে ব্চাচা দেয় । প্রতিবারে ২/৩টি করে বাচ্চা দেয়। সেই মতে ছয় মাসের ছাগল ছানা ১৫ থকে ২০হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন তিনি। যখন মামুন সক থেকে ব্যবসায়ী ভাবে ছাগল পোষায় মনোনীবেশ করছিলেন ঠিক তখনই গত তিন মাসে গ্রাম্য শত্রুতার জের ধরে কে বা কারা তার তিনটি বিদেশী প্রজাতীর ছাগল মেরে ফেল্।ে
সাংাদিকদের মামুন শরীফ বলেন, ২৮ শে নভেম্বর আমার অবর্তমানে বিকাল বেলায় আমার স্ত্রী দেখতে পায় যমুনা প্রজাতীর একটি বকরী আমার সেঝ ভাইয়ের বসিবার ঘরের বারান্দা সামনে মৃত্যু প্রায় অবস্থায় ছটপট করছে। আমার স্ত্রী আমার মিলের কর্মচারীদের নিয়ে ছাগলটির চিকিৎসায় বাজারের ডাঃ দুলাল চন্দ্রকে আনলে তিনি ছাগলের শরীরে বিষ ক্রিয়া বলে মনে করেন। এমতাবস্থায় ছাগলটি মারা যায়।
আমি খবর পেয়ে বাড়িতে এসে বিষ ক্রিয়া সনাক্তের জন্য পশু হাসপাতলে ছাগলটি নিয়ে যাই এবং কাশিয়ানী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোরন্দ্র মজুমদারকে বলে ছাগলের পোষ্ট মটার্নের বব্যস্থা কর। এর মধ্যে আমি কাশিয়ানী থানায় ২৮শে নভেমম্বরেই একটি জিডি করি ।
মামুন শরীফ আরো বলেন আমার সেঝ ভাইয়ের বাজারে বসিবার ঘরটি আমরা চার ভাইয়ে করেছিলোম যা কিনা কোন ব্যাংক বিমা প্রতিষ্ঠানে ভাড়া হওয়ার কথা ছিলো কিন্ত গ্রাম্য বহুবিধ কারণে আমার ভাইয়ের সাথে বর্তমানে আমার ৫/৬টি মামলা মকদ্দমা চলছে। বহুবিধ কারণে গ্রাম্য শত্রুুতার জন্য আমার পরপর ৪টি বিদেশি প্রজাতির চাগলকে একই অবস্থায় মেরে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করছি । আমি ফরেন্সি রিপোর্টের পর মামলা করবো এই প্রাণী হত্যার জন্য ।
এ ব্যপারে কাশিয়ানী উপজেলা প্রাাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোরন্দ্র মজুমদার এর সাথে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা জায়নি।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান বলেন তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।