কাশিয়ানীতে ধর্ষিত হলো অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।

0
1310
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলায় আসামী উজ্জল বিশ্বাস ধর্ষণ করলো ১৪বছরের এক মেয়ে।
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলায় আসামী উজ্জল বিশ্বাস ধর্ষণ করলো ১৪বছরের এক মেয়ে।

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ এম এ জামান
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলায় অন্য বাড়িতে পিঠা বানাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হলেন সংগীতা নামে ১৪বছরের এক মেয়ে।
সংগীতা কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া গ্রামের অক্ষয় বিশ্বাসের মেয়ে এবং তিলছড়া সৈয়াদুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ব্যপারে কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন ধারা সংশোধিত ২০০৩-৯(১)৩০মতে মামলা করেছেন সংগীতার মা অনিতা টিকাদার ।
আসামীরা হলেন, কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া গ্রামের প্রফুল্ল বিশ্বাসের ছেলে উজ্জল বিশ্বাস (২৫),অমৃত বিশ্বাসের স্ত্রী কল্পনা বিশ্বাস(৪০) ও মৃত্যু শরৎ বিশ্বাসের ছেলে প্রফুল্ল বিশ্বাস (৭০)
মামলা সূত্রে জানা যায় , ৩অক্টোবার সন্ধা ৭টার দিকে প্রতিবেশি কল্পনা বিশ্বাস (৪০) পাশের বাড়ির সংগীতাকে তালপিঠা বানানোর কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় । পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঘরে থাকা আসামী উজ্জল বিশ্বাস তাকে ঝাপটে ধরে ভয়ভিতি দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে আর তাকে পাহারা দেয় আসামী কল্পনা বিশ্বাস। সংগীতার কান্নাকাটির পর্যায়ে পাড়া প্রতিবেশি উজ্জলকে আটকালে উজ্জলের লোকজন বিচারের আশা¦স দিয়ে নিয়ে যায় তাকে। সংগীতার বাবা মা এতদিন বিচার না পেয়ে ১০ই অক্টোবর গোপালগঞ্জ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেন।
একই এলাকার শিখা রানী বলেন , পাশের জমিতে আমি কাজ করতে ছিলোম মেয়েটির আত্মচিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে আমিসহ আরো অনেকে দৌড়িয়ে কল্পনার বাড়িতে যাই এবং মেয়েটির গায়ের জামা কাপড় ছিড়া ও তাকে কান্নাকাটি অবস্থায় দেখতে পেয়ে উজ্জলকে আটকে রাখি কিন্ত এলাকার লোকজন বিচারের কথা বলে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ।
সংগীতার বাবা মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,উজ্জল প্রায় আমার মেয়েকে পথেঘাটে উত্যাক্ত করতো যা মেয়ে আমাকে যানিয়েছিলো । আমি উজ্জলের বাবাকে নালিশ দিলে তিনি উল্টো মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিতেন ,যা আমার মতের বিরোধী ছিলো ।আমাদের মেয়ের ইজ্জত ফিরে পাব না বিয়েও দিতে পারবো না!,কে নিবে আমাদের মেয়েকে? তাই ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here