আলোড়ন প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ডিগ্রী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত ফি নিয়ে এইচ.এস.সি-২০২০ এর ফরম পুরণের অভিযোগ উঠেছে কলেজের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপর।
সরেজমিনে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ জানান, নির্ধারিত বোর্ড ফি এর নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাজপাট ডিগ্রী কলেজ কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক ভাবে মানবিক শাখায় ৩হাজার টাকা ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৩হাজার টাকা হারে রশিদমূলে গ্রহণ করছে। অভিযোগ কারী গণ বলেন অতিরিক্ত টাকার ব্যপারে প্রশ্ন করলে স্যাররা হুমকি ধামকিসহ নানা ভয়ভিতি দেখাচ্ছেন ।
অভিযোগকারী মাজকান্দির মোঃ সোলায়মান সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রোল ২৬৯,মোঃ সাদ্দাম তালুকদার তার রোল১৪৪, সবুজ বিশ্বাস যার রোল২৫৬, মোঃ তানভির মোল্লা বাণিজ্যিক বিভাগ রোল –২১৫, এদের থেকে ৩হাজার টাকা করে নিয়েছেন কলেজ কতৃপক্ষ। তারা বলেন আমরা দরিদ্র পিড়িত গ্রাম্য পরিবারের সন্তান বাড়িতে থেকে খেয়ে না খেয়ে আমদের কলেজে অল্পখরচে পড়া লেখা করছিলাম কিন্ত অতিরিক্ত ফি নেওয়ায় আমদের পরিবারের কস্ট পেতে হচ্ছে যা আমাদের পরিবার কখনো চায়নি ।
বিষয়টি নিয়ে রাজপাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ স্বপন বাবুকে অনুপস্থিত পেয়ে ভাইস পি্িরন্সপাল মো.মনিরুজ্জামানকে প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে রেজুলেশনের মাধ্যমে ৩হাজার টাকা ফরম ফিলাপ বাবদ গ্রহন করেছি। যার কপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। সরকারী বিধি মোতাবেক ২হাজার ৮০টাকার স্থানে ৩হাজার টাকা কেনো নিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন অতিরিক্ত টাকা নিয়ে কলেজের উন্নয়ন মুলক কাজ করা হবে। তিনি অরো বলেন আমাদের কলেজের সভাপতি মোহাম্মাদ ফারুক খান এমপি মহদয়ের প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদও বিষয়টি জানেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ বলেন, রাজপাট কলেজ রেজুলেশন করে ছাত্রদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না রাজপাট কেনো অন্য কোন কলেজই অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না ।