৭১এর শহীদদের স্বরণে গাজী যোদ্ধাগণ

0
364
গাজী যোদ্ধাগণ শহীদদের প্রতি মাগফেরাত কামনা করছেন

প্রতিবেদক এম এ জামান:
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের লঞ্চঘাট আমবাগানে ৩১শে অক্টোবার রোজ রবিবার ১৯৭১এর এই দিনে গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের লঞ্চঘাট আমবাগানে পাকিস্থানী পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুক যুদ্ধে ১৪জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলো আর পাকিস্থানী হানাদারগণ গ্রামে ঢুকে অসহায় জনগণের উপর করেছিলো নির্যাতন, পুড়িয়েছিলো বাড়ি ঘর আর নির্বিচারে গুলিকরে গণহত্যা করেছিলো ১৪০জন গ্রামবাসিকে । তাদের স্বরণে প্রতি বছরের মতো গাজী যোদ্ধাগণ সমবেত হয়ে দঃ ফুকরার এই স্মৃতি সৌধে শহীদদের স্বরণে পুস্প অর্পণসহ রোহের মাগফেরাত কামনা করে থাকেন ।আজ সার্ব্বিক সহযোগীতদায় ছিলেন ফুকরা ইউনিয়নের আ”লীগের সভাপতি মোঃ শের আলী মোল্লা।

১৯৭১-এ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পাক হানাদার পাকিস্থানীদের সাথে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য বাংলাদেশের মানচিত্রের জন্য দেশ মাতৃক রক্ষায় চলছে যুদ্ধ। ঠিক তখনী ২৫শে অক্টোবারে ফুকরার লঞ্চঘাট আমবাগানে পাকিস্থানীদের লঞ্চ আক্রমনের জন্য মরীচিকা [মাটিরনিচ]খনন করা হয়। ৩১শে অক্টোবার সকালে গোপন সংবাদে অবগত হই যে আজ পাকহানাদার রাজাকার বাহিনী লঞ্চ যোগে ফুকরার মধুমতি নদী পার হয়ে যাবে।আমরা তখন ঠিক ১১টায় অপ্রতুল্য অ¯্রশ¯্রনিয়ে মরীচিকায় [মাটির নিচে ]অবস্থান করতে থাকি। ইতোমধ্যে একটি লঞ্চ উত্তর দিক থেকে সম্মুখে এলে সহযোদ্ধা ছাত্তার প্রথম গুলি ছোড়ে। শুরু হয় বিশাল শক্তিধর হানাদারদের সাথে অল্পসংখ্যক মুক্তিসেনাদের সম্মুখ যুদ্ধ। যুদ্ধরত অবস্থায় উত্তর দিকথেকে আরো দুটি লঞ্চ ্ সামনের দিকের ঘাটে ভিড়ে হানাদার বাহিনী আমদের পিছনথেকে সকল মরিচা ঘিরি ফেলে ।এতে কিছু যোদ্ধা আত্মরক্ষা পেলেও ১৪জনকে পিছন থেকে ধরে গ্র্যানেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মারে রাজাকার হানাদার বাহিনী।পাশবিকতা ও তান্ডব চালাতে চালাতে গ্রামে ঢুকে বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে চলে যায় ফুকরা মদন মোহন একাডেমী তে ।সেখানে অফিসের ফাইলপত্র তছনছ করে সামনে কর্তব্যরত দপ্তরী সুকলালকে গুলিকরে হত্যাকরে ।একই সাথে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গণহত্য করে আরো ১৪০জন গ্রামবাসিকে ।

তাদেরই স্বরণে এই দিনে আজ এই স্মৃতি সৌধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় আমরা গাজী যোদ্ধা গণ উপস্থিতি হয়েছি । এ প্রতিবেদকের কাছে এভাবেই গল্পটি বর্ণনা করলেন গাজী স ,ম নুর আলম।
গাজী যোদ্ধা ফরিদ মোল্লা যোদ্ধার স্মৃুতিচণে বলেন ১৯৭১সনের ভয়াবহ দিনগুলি জীবনকে হাহাকারের কথা ,কঠিন দুর্ভীক্ষের কথা, স্বাধীনতার কথা স্বরণ করিয়ে দেয় ।আগামী প্রজন্মকে পথচলা শিখাতে যুদ্ধ কালীন সময়ে সাহসী কমান্ডার মোঃ জগলুল কাদের জুলু মিয়া,মোঃ ইদ্রিস আলী মিয়া, মোঃ সুবহান মিয়া ও কমান্ডার চাঁনমিয়া সরদারের তেতৃত্বের কথা অশ্রুসজল কন্ঠে ব্যক্ত করেন॥
গাজী যোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিতি থেকে মোঃ ফরিদ মোরøা ,মোঃআশ্রাব আলী মোল্লা, স,ম, নুরুল আলম,মোঃ আবেদ আলী সরদার মোঃ ইমান আলী শেখ ,এস এম মোঃ মিরণ আলী, মোঃ লিয়াকত আলী সরদার, মোঃ আবুল হোসেন সরদার ,ও মোঃ ইউসুফ আলী সরদার সহ আরো অনেকের মধ্যে গাজী যোদ্ধা মিরান হোসেন বলেন, শহীদ আলী আকবার ,ইমাম হোসেন,হাবিবুর রহমান রবিউল শিকদার রেজাউর করিম আবু কারীকর চাঁন মোল্লা আবুল হোসেন,আঃ মান্নান ,নুর মোহাম্ম্দ, মোসলেম উৃদ্দিন সহ অজ্ঞাত দুজনের লাশ পাওয়া যায়নি সেদিন ।আমার পাশের সহযোদ্ধা বন্ধুরা নিহত হয়েছে ! আমি বাচাতে পারিনি তাদের! এ সময় অশ্রসিক্ত কন্ঠে কান্নায় বেঙ্গে পড়ন তিনি ॥

ফুকরার এই স্মৃতি সৌধের পাশে দাড়িয়ে গাজী যোদ্ধাগণ ফলকে লিপিবদ্ব প্রতিরোধ্য কবিতাটি পাট করেন-
দূর্বার প্রাণের প্রতিরোধ দেবে কি কখনো,
বুকে বুক রেখে দুর্ভেদ্য ব্যরিকেট?
গগণ বিদীর্ণ গুলির শব্দ,
মুহুমূহ বিস্ফোরিত গ্রানেন্ড,
দগ্ধ জন পদের পোড়া মাটির ইতিহাস।
মানব পরীক্ষায় দুপÍ যুবায় নির্ভুল নিশানা,
স্বজন হারা বৃদ্ধের স্ব- করুণ চাহনী,
সম্ভ্রুম হারা মায়ের উদ্বভ্রুম প্রলাপ দেখনী!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here