এম এ জামান:
অবশেষে কাশিয়ানী আশুলিয়া ও লোহাগড়া থানায় দৌড় ঝাপের অবসানে লোহাগড়া থানা মামলা নিয়ে সুষ্ঠ বিচারে আস্বস্ত করলেন সুমির পরিবার কে।
বিবরণে জানা যায় কাশিয়ানী থানার খায়ের হাটের ভুলুগাজীর মেয়ের সাথে পাশের গ্রাম আবুল কালাম মোল্লা (৩৬)পিং মৃত্যু মোতালেব মোল্লা সাং কাগদী থানা কাশিয়ানীর সাথে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপনকরে গত ২৭শে জুন ২০১৮ তারিখে কাবিনরেজিষ্ট্রি ও এফিডেভিট মুলে বিবাহ করে আশুলিয়া থানাধীন গোকুল নগর নুরুল হকের বাড়ি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।সাত মাসের আন্তসত্তা সুমিকে গর্ভপাতের জন্য স্বামী আবুল কালাম এবং ১ম স্ত্রী তানজিলা ও তার ভাই প্রায় চাপ সৃষ্টি করে আসছিল এ বিষয়টি সুমি তার ভাইবোনকে বারবারই অভিহিত করতেন।
২৬শে মার্চ ২০১৯তারিখে সুমির ফোন বন্ধ সহ খোজখবর না পেয়ে ভাই সোহেল আশুলিয়া যান। বাড়ির মালিক নুরুল হক জানান ২৭শে মার্চ সন্ধার দিকে সুমির স্বামী তাকে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি।সুমির ভাই ২৮শে মার্চ আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করেন যার নং ২০১৭। সুমির পরিবার ৩০শে মার্চ ফেসবুকে সুমির মৃত্যুছবি দেখে তাকে সনাক্ত করেন এবং নড়াইলে ছুটে গিয়ে জানতে পারে ২৯শে মার্চ সকাল দশটায় লোহাগড়া থানাধীন মধুমতি নদীর শিয়েরবর নামক স্থানে সুমিসহ পেটের শিশুটি পানিতে ভাসতে ছিল জনখবরের ভিত্তিত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ তুলে নড়াইলে সুরতহাল করে অগাতঃলাশ হিসাবে দাফন করেছেন।
অতঃপর সুমির পরিবার খুনির বিচারে লোহাগড়া থানা কাশিয়ানী থানা এবং আশুলিয়া থানায় আইনী জটিলতার জন্য মামলা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে কাশিয়ানীর জনগণ সুমি হত্যার বিচারের দাবিতে মানব বন্ধন করেন।
অবশেষে ৭ই এপ্রিল লোহাগড়া থানা সুমি হত্যা মামলা গ্রহন করেন মামলা নং ০৯।
মামলার বিবরণে আসামীগণ ১/মোঃ আবুল কালাম মোল্লা (৩৬)পিং মৃত্যু মোতালেব মোল্লা সাং কাগদী কাশিয়ানী,২/তানজিলা বেগম (২৮) স্বামী আবুল কালাম মোল্লা সাং কাগদী কাশিয়ানী (বর্তমানঃপিং আক্তার মোল্লা সাং লতিফপুর পশ্চিমপাড়া থানা মোকসুদপুর।৩/তাহেদুল মোল্লা(৩৭)পিংআক্তার মোল্লা সাং লতিফপুর পশ্চিমপাড়া মোকসুদপুর।৪/ ফরিদ মোল্লা (৩৭)পিং মোতালেব মোল্লা সাং কাগদী থানা কাশিয়ানী গোপালগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪ জন বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে।