
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল নায়েবুন্নেছা ইনষ্টিটিউশনের কর্মচারীনিয়োগ নিয়ে টালবাহানা করছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রিপন। অভিযোগ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কতিপয় সদস্য।
চারটিপদে পরিক্ষায় পাস করেও চাকুরী পাচ্ছেন না নিয়োগ বোর্ডের শুপারিশ প্রাপ্তরা। দ্বিধাবিভক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। একে অপরের উপরে দোষচাপিয়ে পার পওয়ার চেষ্টা চলছে। বঞ্চিত হচ্ছে লিখিত ও মৌখিকপরিক্ষা পাস করে শুপারিশ প্রাপ্তরা। নিয়োগ বোর্ডের সচিবসহ কমিটির মোট পাচঁজন সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের নায়েবুন্নেছা ইনস্টিটিউশন এর প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ে জন্য কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী এই চারটি পদে জন্য ১১.০৯.২০২২ তারিখে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। বিধি মোতাবেক চারটি পদের জন্য মোট ২৬ জন প্রার্থী ০৪.০২.২৩ তারিখে গোপালগঞ্জ জেলার সদরের বীনাপানি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্য উপস্থিত থেকে লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা নেয়।
নিয়োগ পরিক্ষায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে মোঃ আশরাফুজ্জামান সেতু, অফিস সহায়ক মোঃ আশিক শেখ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী শিহাব উদ্দিন খান, আয়া লিমা খানম প্রথম স্থন অধিকার করে নিয়োগ কমিটির শুপারিশ প্রাপ্ত হয়। নিয়োগ পরীক্ষা সচ্ছ হয়েছে বলে দাবী করে সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান রিপন, ডিজি প্রতিনিধি মৃন্ময় বাড়ৈ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাফুজা বেগম, সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, সদস্য নাহিদা আক্তার সকলে উপস্তিতিতে ফলাফল সিটে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, সভাপতি মোঃ মিজানুররহমান রিপনের চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী সুইটি বেগম প্রথম হতে নাপারায় শুপারিশ থেকে বাদ পড়ে। এর পর থেকে সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান রিপন নিয়োগ বাতিলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
তাই আমি ও অনান্য সদস্যরা প্রতিকার চেয়ে ঢাক ম্যাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অবেদন করেছি।
কাশিয়ানী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মাহফুজা বেগম জানান নিয়োগপরিক্ষা সচ্ছ ও নিরেপেক্ষ হয়েছে। কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনাঘটে নাই।
অভিযুক্ত সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান রিপন বলেন, সুইটি আমার কেউ না। আমি সচ্ছ ওপরিচ্ছন্ন নিয়োগ চাই। তাই সবাই মিলে আমার বিরোধীতা করছে। ফলাফল সিটে আগে থেকে আমার স্বাক্ষর নেয় যেটা আমি বুঝতে পারে নাই।